উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আকর্ষণীয় শিল্পখাত হিসাবে গড়ে উঠেছে জাহাজ নির্মাণ শিল্প বা শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রী। শিপবিল্ডিং এর আভিধানিক অর্থ জাহাজ-নির্মান, যা থেকে ধারনা করাই যায় যে, শিপবিল্ডিং টেকনোলজি এমন একটি টেকনোলজি বা প্রযুক্তি যেখানে, শিপ নির্মান শিল্প এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল বিষয় ও কর্ম ভিত্তিক বাস্তবমূখি শিক্ষা ও জ্ঞান সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়। সংক্ষেপে, শিপবিল্ডিং কে নৌবিদ্যা ও বলা যেতে পারে।
বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প
অত্যান্ত সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রমবিকাশমান এই শিল্প। বর্তমান থেকে শুরু করে আদিম যুগ পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি জাহাজ রপ্তানি করার মাধ্যমেই মুলতঃ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাহাজ নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশের ৪০০শ'রো বেশি জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি রয়েছে যেগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, মেঘনা, ও মুন্সিগঞ্জ কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ
নিত্যনতুন ডিজাইন, শিপ আপগ্রেড ও মেরামতের কাজই হচ্ছে একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারের কাজ। শিপবিল্ডিং-এর কাজকে সাধারণত সাত ভাগে ভাগ করা যায়। ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন, প্ল্যানিং, ওয়ার্কপ্রিয়র টু কিল লায়িং, শিপ ইরেকশন, লঞ্চিং, ফাইনাল আউটফিটিং, সি-ট্রায়ার। সকল ধাপে জাহাজের ডিজাইন ইভালুয়েশন এবং ক্যালকুলেশন করা, কনভারশন রিভল্বিং, মডার্নাইজেশন এবং জাহাজ রিপেয়ারিং ও শিপবিল্ডিং-এর আওতাভুক্ত।
কেন শিপবিল্ডিং টেকনোলজিতে পড়বেন?
শিপবিল্ডিং টেকনোলজি একটি বাস্তবমূখী প্রযুক্তি, যা বিশ্বের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে। একজন ছাত্র নিঃ সন্দেহেই শিপবিল্ডিং টেকনোলজি কে বেছে নিতে পারে, যার কারন গুলো হলঃ
বিভিন্ন টেকনোলজির জ্ঞানঃ শিপবিল্ডিং এমন একটি টেকনোলজির যেখানে শিপবিল্ডিং টেকনোলজির সাথে সাথে বিভিন্ন টেকনোলজি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ থাকে, কারন এই টেকনোলজি একআধারে শিপবিল্ডিং, মেরিন, মেকানিক্যাল, আর্কিটেকচার, সিভিল ও সার্ভেয়িং টেকনোলজি সমন্বয়ে গঠিত।
অসংখ্য কর্মক্ষেত্রঃ বিভিন্ন টেকনোলজিতে জ্ঞান থাকা কারনে, একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অসংখ্য কর্মক্ষেত্র থেকে পছন্দ মত তার ক্যারিয়ার গড়তে করতে পারবেন, যা শিপবিল্ডিং সহ গুটি কয়েক টেকনোলজি তেই সম্ভব। অসংখ্য বেসরকারী, সরকারী তথা মন্ত্রনালয়ের মত কর্মস্থলে তো চাকুরীর সুযোগ থাকছেই, এছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বিভিন্ন সামরিক পদে আবেদন করতে পারবেন। নৌবাহিতেই বিভিন্ন বেসামরিক পদেও আবেদন করা যায়। ডিজাইন হাউজে, জাহাজের নকশা তৈরীতেও শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার-রাই তুলনাহীন ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।
গেজেটঃ এটি একটি গেজেটে প্রাপ্ত টেকনোলজি।
কর্মস্থলঃ একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার শুধু মাত্র বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই তার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। বাংলাদেশের হাজার হাজার শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার সিঙ্গাপুর, নরওয়ে ইত্যাদির মত দেশগুলো তে চাকুরীরত আছেন।
নিজস্ব ওয়ার্কিং সেক্টরঃ শিপবিল্ডিং টেকনোলজির বাংলাদেশেই আছে অসংখ্য শিপইয়ার্ড , ডকইয়ার্ড, BIWTA, BIWTC, BSC এর মত নিজস্ব ওয়ার্কিং সেক্টর।
অন্যান্য ওয়ার্কিং সেক্টরঃ একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার কোর্স শেষে শিপবিল্ডিং এর নিজস্ব ওয়ার্কিং সেক্টর ছাড়াও আরো বিভিন্ন ওয়ার্কিং সেক্টরে কাজ করতে পারবেন, যেমনঃ বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড, কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রী, পাওয়ার প্ল্যান্ট ইত্যাদি।
আকর্ষনীয় বেতনঃ একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারই পারেন তার দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেকে আকর্ষনীয় বেতনভুক্ত করতে।
শিপবিল্ডিং টেকনোলজির কর্মক্ষেত্র
কোর্স কমপ্লিট করার পর শিপ ডিজাইন ও শিপ কন্সট্রাকশন ফিল্ডের যে কোন সেকশনে কাজ করতে পারেন একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং। শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের ধরনের উপর বেতন নির্ধারিত হয়ে থাকে। শিপবিল্ডিং বিভাগ থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের যে সব কর্মক্ষেত্রে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে সেগুলো হলোঃ
কর্মক্ষেত্রে NPI এর শিপবিল্ডিং টেকনোলজির ছাত্রদের অবস্থান
কোর্স শেষে আমাদের ইনস্টিটিউট এর ছাত্র রা যে সকল কর্ম ক্ষেত্রে যোগদান করেছে সেখান থেকে কিছু কম্পানির নাম উল্লেখ করা হলঃ
কেন NPI এর শিপবিল্ডিং বিষয়ে পড়বেন?